কলকাতা সংবাদদাতা : শারীরিক অবস্থা সঙ্কটেই বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। তঁার ফের প্লাজমা থেরাপি করা হয়েছে। তিনি কোভিড এনসেফেলোপ্যাথিতে সংক্রমিত। ১২ জন চিকিৎসকের একটি বিশেষজ্ঞ দল তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে সবসময় খেয়াল রাখছে। তবে হাসপাতাল সূত্রে একটি আশার কথাও শোনা গিয়েছে, তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাস এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই অবস্থা অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তিত রয়েছেন তাঁর তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব দেখে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আচ্ছন্ন ভাব তাঁর কিছুতেই কাটছে না। রবিবার সন্ধের সময় চিকিৎসকরা তাঁর সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন। কিন্তু তাঁর তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব না কাটায় আশঙ্কিত চিকিৎসকরা। তাঁরা মনে করছেন, রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকায় তিনি কোভিড–১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই বয়সেও লড়াই করতে পারছেন। তবে সৌমিত্র–তনয়া পৌলোমী বসু জানিয়েছেন, এনসেফেলোপ্যাথিতে সংক্রমিত হলে তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব থাকে। তাঁর বাবারও তাই রয়েছে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্কটজনক অবস্থার কথা এদিন প্রকাশ্যে আসার পর বাংলার সাংস্কৃতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা ও অভিনেত্রী তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। সকলেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। উল্লেখ্য, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে ৬ অক্টোবর। ওই দিনই তাঁকে কলকাতার বেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তখনই তাঁকে দেখাশোনার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়।
প্রথম দিকে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত স্বাভাবিকই ছিল। স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করতেন। এমনকী, সকলের সঙ্গে স্বাভাবিক কথাবার্তাও বলতেন। তার পর অভিনেতার শরীরে কিছুটা জটিলতা দেখা দিলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁর অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। শুক্রবার রাতেই আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখনই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ওই হাসপাতাল ১২ জন চিকিৎসককে নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করে। অভিনেতার কো–মর্বিডিটি থাকায় চিন্তায় পড়ে যান চিকিৎসকরা। রবিবার দুপুরে অভিনেতার অবস্থার আরও অবনতি হলে চিকিৎসকদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। অভিনেতার ফের প্লাজমা থেরাপি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।